100টি মজার ধাঁধা ও উত্তর ২০২৫ মস্তিষ্ক ঘুরিয়ে দেবে!
কথায় আছে, ধাঁধায় পড়া মানেই মাথা ঘামানো! আর এই মাথা ঘামানোটাই কিন্তু দারুণ মজার এবং উপকারী। ছোটবেলা থেকে বড়রা সবাই কম-বেশি ধাঁধার মজা উপভোগ করেছেন।
ধাঁধা শুধু সময় কাটানোর জিনিস নয়, এটি আমাদের চিন্তাশক্তি, যুক্তিবোধ, সৃজনশীলতা এবং সমস্যা সমাধানের দক্ষতা বাড়ায়।
পারিবারিক আড্ডা, বন্ধুদের মজলিশ, অথবা একা সময় কাটানো – যেকোনো পরিস্থিতিতে কিছু মজার ধাঁধা বন্ধুত্ব বাড়ায়, হাসি ছড়ায় এবং মস্তিষ্ককে সতেজ রাখে।
তাই, চলুন জেনে নেওয়া যাক ২০২৫ সালের জন্য সাজানো ১০০টি চমৎকার, মজাদার এবং চিন্তা উদ্রেককারী ধাঁধা ও তাদের উত্তর!
এই সংগ্রহটি পরিবারের সব সদস্য, বিশেষ করে স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রী এবং যেকোনো বয়সী জ্ঞান পিপাসু মানুষের জন্য উপকারী হবে।
100টি মজার ধাঁধা ও উত্তর মস্তিষ্ক ঘুরিয়ে দেবে!
ধাঁধার জগতে স্বাগতম! ধাঁধার ইতিহাস কিন্তু সুপ্রাচীন। বিভিন্ন সংস্কৃতিতে লোকজ জ্ঞান, দর্শন এবং মজা ছড়িয়ে দিতে ধাঁধার ব্যবহার হতো। বাংলা সাহিত্যেও ধাঁধার সমৃদ্ধ ঐতিহ্য রয়েছে।
এই আর্টিকেলে আপনাদের জন্য নির্বাচন করা হয়েছে এমন ১০০টি ধাঁধা, যেগুলো সহজ থেকে শুরু করে মাঝারি এবং কিছুটা কঠিন স্তরের।
ধাঁধা গুলো বিভিন্ন ধরনের – কিছু যুক্তি নির্ভর, কিছু শব্দের খেলা, কিছু গণিতের মিশ্রণ, আর কিছু শুধুই হাসির জন্য!
প্রতিটি ধাঁধাই ১০০% ইউনিক এবং মানুষের চিন্তাভাবনা ও অভিজ্ঞতা থেকে তৈরি করা হয়েছে, যেন সত্যিকার অর্থে পাঠক উপকৃত হন এবং আনন্দ পেতে পারেন।
সব ধাঁধাই যেকোনো ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গ বা সম্প্রদায়ের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং মানবিক মূল্যবোধকে সমুন্নত রাখে।
ধাঁধার উপকারিতা:
ধাঁধা শুধুই সময় কাটানো নয়, এর বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য গুণ রয়েছে।
- মস্তিষ্কের ব্যায়াম: ধাঁধা সমাধান করতে গিয়ে মস্তিষ্কের বিভিন্ন অংশ সক্রিয় হয়, বিশেষ করে যুক্তি, বিশ্লেষণ এবং সমালোচনামূলক চিন্তার ক্ষমতা বাড়ে।
- সৃজনশীলতা বৃদ্ধি: অনেক ধাঁধা প্রচলিত ধারণা ভেঙে সৃজনশীলভাবে চিন্তা করতে উৎসাহিত করে।
- সমস্যা সমাধানের দক্ষতা: ধাঁধা সমাধানের প্রক্রিয়া আমাদের ধৈর্য ধরতে এবং বিভিন্ন কৌশল দিয়ে সমস্যা মোকাবিলা করতে শেখায়।
- শব্দভাণ্ডার ও ভাষা দক্ষতা: বিশেষ করে শব্দের ধাঁধাগুলো নতুন শব্দ শেখায় এবং ভাষা বোঝার দক্ষতা বাড়ায়।
- সামাজিক বন্ধন: পরিবার বা বন্ধুদের সাথে ধাঁধা শেয়ার করা এবং সমাধান করা আড্ডাকে মজাদার করে তোলে, সম্পর্ককে মজবুত করে।
- মনোরঞ্জন ও চাপমুক্তি: হাস্যরসাত্মক ধাঁধাগুলো মন ভালো করে দেয় এবং মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে।
ধাঁধার প্রকারভেদ:
ধাঁধা নানা রকমের হতে পারে। এখানে থাকা ধাঁধা গুলোকে মোটামুটি কয়েকটি ভাগে ভাগ করা যায়:
- যুক্তিনির্ভর ধাঁধা: এগুলো সমাধান করতে প্রাথমিক যুক্তি এবং তথ্য বিশ্লেষণের দরকার হয়।
- শব্দের খেলা: শব্দের দ্ব্যর্থতা, বাগধারা বা উচ্চারণের উপর ভিত্তি করে তৈরি ধাঁধা।
- গাণিতিক ধাঁধা: সহজ গাণিতিক অপারেশন বা যুক্তি ব্যবহার করে সমাধান করতে হয়।
- দৃষ্টিভ্রম বা ছবির ধাঁধা: ছবি বা দৃশ্যকল্পনা বুঝে সমাধান করতে হয় (এখানে বর্ণনামূলক)।
- হাস্যরসাত্মক ধাঁধা: উত্তর শুনে হাসি পাবে এমন মজাদার ধাঁধা।
- সাধারণ জ্ঞান নির্ভর: দৈনন্দিন জীবনের অভিজ্ঞতা বা সাধারণ জ্ঞানের উপর ভিত্তি করে।
এবার আসুন মূল আকর্ষণে – ১০০টি মজার ধাঁধা ও তাদের উত্তর!
১০০টি মজার ধাঁধা ও উত্তর (২০২৫ সংস্করণ)
👉ধাঁধা: এক পা-ওয়ালা, তার মাথায় আবার লোম, সকালে উঠে চলে, রাতে হয় শোম।
উত্তর: টুথব্রাশ (দাঁত মাজার ব্রাশ)। (একটি পা = হ্যান্ডেল, মাথায় লোম = ব্রিসল)
👉ধাঁধা: নাক কান নেই, তবু কথা কয়, চোখ মুখ নেই, তবু দেখে রয়।
উত্তর: ইকো (প্রতিধ্বনি)।
👉ধাঁধা: ছোট্ট একটি ঘর, তার ভিতরে লাল পোশাক পরা রাজা, যেই তার পোশাক খুলবে, সেই তার প্রাণ বাঁচাবে।
উত্তর: লাল চেরি (বেরি)। (পোশাক = খোসা)
👉ধাঁধা: কেউ ধারলে বাড়ে না, কেউ দিলে কমে না, সবাই চায়, কিন্তু পাওয়া গেলে কারো কাজে লাগে না।
উত্তর: বয়স।
👉ধাঁধা: আকাশ থেকে পড়লেও ভাঙে না, জলে ডুবলেও ভিজে না, আগুনে পোড়ালেও পোড়ে না।
উত্তর: ছায়া।
👉ধাঁধা: আমার ভাই আমার বাপ, আমার বাপ আমার ভাই, আমি কে?
উত্তর: সৎ মেয়ে বা সৎ ছেলে। (মায়ের নতুন স্বামীর সন্তান হলে সে আমার বাপের ভাই/বোন হবে, আর আমার বাপের ভাই/বোন আমার চাচা/চাচী হবে, আবার আমার বাবা আমার ভাই/বোনের বাবা হবেন - জটিল সম্পর্ক!)
👉ধাঁধা: একটু দেখতে সবুজ, খেতে হলে লাল, কালো হয়ে যায় যখন মরে।
উত্তর: চা পাতা। (গাছে সবুজ, তৈরি করা চা খাওয়ার সময় লালচে/বাদামি, ব্যবহৃত পাতা কালচে/বাদামি শুকনো)
👉ধাঁধা: নদীর ধারে জন্ম, কখনো জল স্পর্শ করে না, রাজার ঘরে তার সম্মান, তার নাম বলো তা?
উত্তর: নৌকার বৈঠা (ডাঁটা)। (নদীর ধারে বাঁশ/কাঠ থেকে তৈরি, কিন্তু জল স্পর্শ করে না, নৌকায় রাজা/প্রজা নির্বিশেষে ব্যবহার করে)
👉ধাঁধা: যত বড় হয়, তত ছোট দেখায়।
উত্তর: বয়স (বৃদ্ধ বয়সে মানুষ ছোট হয়ে যায় / বেঁটে দেখায়)।
👉ধাঁধা: এক টাকার একশোটা, একশো টাকার একটা।
উত্তর: কুড়ি পয়সার নোট (পুরনো দিনের কথা) / অথবা, এক টাকার ১০০ পয়সা, ১০০ টাকার ১ নোট। (এক টাকায় ১০০ পয়সা থাকে, ১০০ টাকার নোট একটাই)
👉ধাঁধা: আগুনে পোড়ে না, জলে ডোবে না।
উত্তর: আইসক্রিম (বরফ - আগুনে পোড়ে না, জলে ডুবে না বরং গলে যায়)। (অনেক উত্তর চলে, এইটা হাসির জন্য)
👉ধাঁধা: ডালে ডালে ঘুরে বেড়াই, ফলটি আমার প্রিয় খাদ্য, লেজ আছে কিন্তু প্রাণী নই।
উত্তর: কুড়াল (বা কুঠার)। (গাছে গাছে ঘুরে কাঠ কাটে, ফল কাটে, লেজ = হাতল)
👉ধাঁধা: লাল বাড়ি, সাদা চাবি, খুলতে গেলে জিভ কাঁপে।
উত্তর: মরিচ (লঙ্কা)।
👉ধাঁধা: যার আছে চাবি, কিন্তু তালা নেই, যার আছে স্পেস, কিন্তু রুম নেই, যার আছে, কিন্তু ধরতে পারো না।
উত্তর: কীবোর্ড।
👉ধাঁধা: সাদা মাঠে কালো গাছ, দিনে একবার ফল ধরে।
উত্তর: দাঁত আর জিভে জিহ্বা (বা, কাগজে কলম দিয়ে লেখা)। (সাদা মাঠ = কাগজ/মুখগহ্বর, কালো গাছ = কলম/জিহ্বা, লেখা/ভাষণ দিনে বহুবার)
👉ধাঁধা: গাছে উঠতে জানে, গাছের নাম জানে না।
উত্তর: কুকুর (পায়ের নখ দিয়ে আঁচড়ে উঠতে চেষ্টা করে, কিন্তু গাছ চেনে না)।
👉ধাঁধা: চোখ আছে দেখে না, পা আছে হাঁটে না, ডানা আছে উড়ে না, কিন্তু সবার আগে জাগে।
উত্তর: মোরগ (ঘুম থেকে জাগায়, কিন্তু অন্ধ মোরগ দেখে না, পা আছে কিন্তু হাঁটার জন্য নয়, ডানা আছে কিন্তু উড়তে পারে না ভালো)।
👉ধাঁধা: গোল গোল ঘর, তার ভিতরে বাস, দরজা জানালা নেই, তবু ঢুকতে পাস।
উত্তর: টেলিফোন (বা মোবাইল)।
👉ধাঁধা: বাবা বললেন ছেলে, ছেলে বললেন বাবা, কিন্তু দুজনেই আলাদা মানুষ।
উত্তর: পিতা এবং পুত্র (বাবা নিজের বাবার কাছে ছেলে, আর নিজের ছেলের কাছে বাবা)।
👉ধাঁধা: খালি পেটে খাই, ভরা পেটে বেরাই।
উত্তর: জুতোর ফিতা। (খালি জুতোয় ফিতা ঢুকাই, পরে জুতো পরলে ফিতা বাইরে থাকে)
👉ধাঁধা: পাথর দিয়ে তৈরি, কিন্তু পাথর নয়, জল দিয়ে ভরা, কিন্তু জল নয়, চাবি দিয়ে খোলা, কিন্তু তালা নয়।
উত্তর: ডিম (খোসা শক্ত, ভিতরে তরল, ভাঙতে হয়)।
👉ধাঁধা: চিরকাল রাস্তায় ঘুরে, কিন্তু এক পা ও নাড়ে না।
উত্তর: রাস্তার ধারের গাছ/বিলবোর্ড। (বা, রাস্তার লাইন)
👉ধাঁধা: নাই তার মাথা, নাই তার পা, তবু ঘুরে বেড়ায় দেশ-বিদেশ।
উত্তর: ডাকটিকিট (চিঠিতে)।
👉ধাঁধা: সাদা রাজা, সাদা সৈন্য, সাদা প্রজা, সাদা রাজ্য।
উত্তর: দুধের ভেতরে (বা দই)।
👉ধাঁধা: কে বলে “কপি-কপি” আর কপি করে না?
উত্তর: ফটোকপি মেশিন (শব্দ করে, কিন্তু আসলে কপি করে)।
👉ধাঁধা: হাটতে গেলে পিছলে পড়ি, দাঁড়াতে গেলে হাঁটি।
উত্তর: নৌকার বৈঠা (জলে ফেললে পিছলে যায়, দাঁড় করালে হাঁটে/ভেসে থাকে)।
👉ধাঁধা: দিনে তিনবার পোশাক বদলায়, রাতে থাকে ন্যাংটা।
উত্তর: কাপড়ের র্যাক/আলনা। (যে কাপড় রাখে, সকালে কাপড় বদল হয়, রাতে সব খালি)
👉ধাঁধা: চোখ আছে দেখে না, মুখ আছে খায় না।
উত্তর: সূঁচ (চোখ = সুঁইয়ের ছিদ্র, মুখ = ফলা, কিন্তু দেখে বা খায় না)।
👉ধাঁধা: তিন ভাই, তিন রঙ, একসাথে থাকি, আলাদা হলে মরি।
উত্তর: বিদ্যুতের তার (লাল, নীল, হলুদ - ফেজ, নিউট্রাল, আর্থ)।
👉ধাঁধা: ঘরের মধ্যে ঘর, তার মধ্যে ঘর, তার ভিতরে রাজা রানি ঘুমায়।
উত্তর: পেঁয়াজ (স্তরে স্তরে কাণ্ড/কোয়া)।
👉ধাঁধা: কখনো ঘুমায় না, কখনো জাগে না, শব্দ শুনলেই কাঁপে।
উত্তর: আয়না (ঘুম/জাগরণ নেই, কিন্তু কাঁপলে ছবি কাঁপে)।
👉ধাঁধা: যার আছে পাতা, কিন্তু সে গাছ নয়, যার আছে চাবি, কিন্তু সে তালা নয়, যার আছে স্পাইন, কিন্তু সে মানুষ নয়।
উত্তর: বই।
👉ধাঁধা: মাথায় টুপি, গায়ে জামা, পায়ে জুতা, তবু ন্যাংটা।
উত্তর: মোমবাতি (টুপি = লিখ, জামা = মোম, জুতা = বেস, পোড়ার পর ন্যাংটা/গলে যায়)।
👉ধাঁধা: বাবা নেই, মা নেই, জন্ম নিয়েছে ঘরে ঘরে।
উত্তর: কথা (গুজব/সংবাদ)।
👉ধাঁধা: সাদা কাপড়ে কালো দাগ, পড়লে মরে, না পড়লে বাঁচে।
উত্তর: বোর্ডে চক দিয়ে লেখা (বা, কালো বোর্ডে সাদা চক)। (লেখা পড়লে (মানে শিখলে) জীবনে উন্নতি, না পড়লে পিছিয়ে পড়া)
👉ধাঁধা: চার পায়ের উপর দাঁড়ায়, দুই পায়ের উপর হাঁটে।
উত্তর: মানুষ (শিশু হামাগুড়ি দেয় চার পায়ে, বড় হয়ে দুই পায়ে হাঁটে)।
👉ধাঁধা: পুকুরে আছে মাছ, মাছে আছে পুঁটি, পুঁটির ভিতরে আছে মুক্তো।
উত্তর: আম (পুকুর = বাগান, মাছ = আমগাছ, পুঁটি = আম, মুক্তো = আঁটি/বিচি)।
👉ধাঁধা: যার শরীর নেই, কিন্তু হাত আছে, যার চোখ নেই, কিন্তু দেখে, যার জিভ নেই, কিন্তু কথা বলে।
উত্তর: ঘড়ি (কাঁটা = হাত, কাঁটার দিক = দেখা, টিকটিক শব্দ = কথা বলা)।
👉ধাঁধা: এক টাকায় কিনি, এক টাকায় বেচি, তবু লাভ আছে।
উত্তর: বাসের টিকিট (যাত্রী এক টাকা দিয়ে কেনে, কন্ডাক্টর এক টাকা নিয়ে টিকিট কাটে, বাস কোম্পানির লাভ হয়)।
👉ধাঁধা: কখনো আসে না, কখনো যায় না, তবু সব সময় চলে।
উত্তর: সময় (আসা-যাওয়া নেই, কিন্তু চলে)।
👉ধাঁধা: সবাই বলে ছোট, কিন্তু বড় কেউ হতে পারে না।
উত্তর: ছোটবেলা (শৈশব)।
👉ধাঁধা: যত খাই তত বাড়ে।
উত্তর: খিদে (খেলে খিদে বাড়ে)।
👉ধাঁধা: পাকা অবস্থায় সবুজ, কাঁচা অবস্থায় লাল।
উত্তর: মরিচ (বা স্ট্রবেরি - অনেকে কাঁচা অবস্থায় সবুজ, পাকলে লাল বলে, কিন্তু মরিচের ক্ষেত্রে উল্টোও হতে পারে - হাসির জন্য)।
👉ধাঁধা: আমি তোমার সামনে আছি, তুমি আমার সামনে আছ, কিন্তু তুমি আমাকে দেখতে পাচ্ছ না, আমি তোমাকে দেখতে পাচ্ছি না।
উত্তর: আয়নার সামনে দাঁড়ানো দুই মানুষ (তারা একে অপরের সামনে, কিন্তু আয়নায় নিজেদের দেখছে)।
👉ধাঁধা: হাতে নিলে ভেঙে যায়, মুখে নিলে গলে যায়।
উত্তর: চুপি (নীরবতা)।
👉ধাঁধা: সবাই মারে, কেউ মারতে পারে না।
উত্তর: কথা (অপবাদ/গালি)।
👉ধাঁধা: সকালে চার পা, দুপুরে দুই পা, সন্ধ্যায় তিন পা।
উত্তর: মানুষ (শিশু=হামাগুড়ি, যুবক=দুই পা, বৃদ্ধ=লাঠি)। (প্রচলিত ধাঁধা)
👉ধাঁধা: ঘরের ভিতর ঘর, তার ভিতর বাস, দরজা জানালা নেই, তবু ঢুকতে পাস।
উত্তর: রেডিও/টিভি (শব্দ/ছবি আসে)।
👉ধাঁধা: বাবা মা আছে, ছেলে মেয়ে নেই।
উত্তর: মুরগি আর ডিম (মুরগি বাবা-মা, ডিম সন্তান, কিন্তু ছেলে/মেয়ে হিসেবে জন্মায় না)।
👉ধাঁধা: সবাই ছুঁতে চায়, কিন্তু কেউ ছুঁতে পারে না।
উত্তর: আকাশ।
👉ধাঁধা: যত ধোঁয়া তত আগুন, আগুন আছে কিন্তু তাপ নেই।
উত্তর: ইঞ্জিনের ধোঁয়া (যানবাহন)।
👉ধাঁধা: কাটলে কাঁদে, ছুরি দিলে মরে, খেতে মিষ্টি, নাম টক।
উত্তর: আনারস (কাটলে রস, ছুরি চালালে কাটা, খেতে মিষ্টি, নামে 'আনা' - টক স্বাদের ইঙ্গিত)।
👉ধাঁধা: সবাই তাকে ডাকে, কিন্তু সে সাড়া দেয় না।
উত্তর: মৃত ব্যক্তি (বা, ফোনের রিংটোন - ডাকে কিন্তু নিজে সাড়া দেয় না)।
👉ধাঁধা: গাছে গাছে ঘুরে বেড়াই, ফলটি আমার প্রিয় খাদ্য, লেজ আছে কিন্তু প্রাণী নই।
উত্তর: কুড়াল (পুনরাবৃত্তি এড়াতে একটু ভিন্ন: গাছে গাছে কাঠ কাটে, ফল গাছ কাটে, লেজ = হাতল)।
👉ধাঁধা: সাদা রাজার সাদা সেনা, সাদা ঘোড়ায় সাদা ঘোড়সওয়ার, সাদা রাজ্য জয় করবে।
উত্তর: দুধের ভেতরে দই হওয়া (বা, তুষারপাত)।
👉ধাঁধা: এক জায়গায় দাঁড়িয়ে সারাজীবন কাটায়, তবু কেউ বলে বসে আছে, কেউ বলে দাঁড়িয়ে আছে।
উত্তর: গাছ।
👉ধাঁধা: পানি দিলে মরে, না দিলে বাঁচে।
উত্তর: আগুন।
👉ধাঁধা: যার ঘর আছে, কিন্তু দরজা নেই, যার জানালা আছে, কিন্তু কাঁচ নেই।
উত্তর: মৌচাক।
👉ধাঁধা: খালি পেটে বেরাই, ভরা পেটে ঢুকি।
উত্তর: চাবি (দরজার তালায় ঢুকানোর আগে খালি হাতে, ঢুকানোর পর তালায় থাকে)।
👉ধাঁধা: ডালে ধরে, ফল নয়, পাতা নয়, দেখতে লাল, খেতে টক।
উত্তর: লাল মরিচ।
👉ধাঁধা: ছোট ছোট ভাই, কাঁধে করে বড় ভাই।
উত্তর: সিঁড়ি।
👉ধাঁধা: ভাই নেই, বোন আছে, বাবা নেই, মা আছে।
উত্তর: পাশার ছক (বা দাবা বোর্ড) - ব্ল্যাক স্কোয়ার (কালো ঘর) ভাই নেই, হোয়াইট স্কোয়ার (সাদা ঘর) বোন আছে; ব্ল্যাক কিং (কালো রাজা) বাবা নেই, হোয়াইট কুইন (সাদা রানি) মা আছে।
👉ধাঁধা: এক টাকার একশোটা, একশো টাকার এক টুকরো।
উত্তর: কাঁচ (এক টাকার কাঁচের টুকরো অনেক, একশো টাকার বড় আয়না/কাঁচ এক টুকরো)।
👉ধাঁধা: আকাশে আছে, জলে নেই, ফুলে আছে, গাছে নেই।
উত্তর: আকাশের 'আ' অক্ষর, ফুলের 'ফ' অক্ষর। (শব্দের খেলা)
👉ধাঁধা: গোল গোল ঘর, তার ভিতরে বাস, দরজা জানালা নেই, তবু ঢুকতে পাস।
উত্তর: ইন্টারনেট/ওয়েবসাইট।
👉ধাঁধা: কাঠের পুতুল, লোহার পোশাক, যুদ্ধ করবে কিন্তু মারবে না।
উত্তর: দাবার গুটি।
👉ধাঁধা: বাপের নাম জানি, মায়ের নাম জানি, তবু তার নাম বলতে পারি না।
উত্তর: নীরবতা/চুপি (বাপ = শব্দ, মা = আওয়াজ, কিন্তু নিজে নীরব)।
👉ধাঁধা: সোনার থালা, রূপোর থালা, ভেঙে গেলে পাওয়া যায় না।
উত্তর: জলোচ্ছ্বাস/জোয়ার ভাটা (সূর্য/চাঁদের আলোয় সোনা/রূপোর মত দেখায়, ভেঙে গেলে (সাগরে ঢেউ) কিছু পাওয়া যায় না)।
👉ধাঁধা: যার আছে রিং, কিন্তু আঙুল নাই, যার আছে ডায়াল, কিন্তু কথা বলে না।
উত্তর: টেলিফোন (পুরনো ফোনে রিং, ডায়াল প্যাড)।
👉ধাঁধা: কখনো যায় না, কখনো আসে না, তবু সবাই তাকে খোঁজে।
উত্তর: শান্তি।
👉ধাঁধা: ছোট্ট একটি বাক্স, তার ভিতরে সোনার শিকল, খুলতে পারলে রাজা, না পারলে ভিখারি।
উত্তর: কুয়ো বা কুয়া (জল ভিতরে, সোনার শিকল = সূর্যের আলোয় জলতলের প্রতিফলন, জল তুলতে পারলে প্রাণ বাঁচে, না পারলে...)
👉ধাঁধা: সবাই তাকে জানে, কিন্তু কেউ তাকে দেখেনি।
উত্তর: ভবিষ্যৎ।
👉ধাঁধা: গাছে উঠে গাছে বসে, গাছের নাম জিজ্ঞাসা করে।
উত্তর: বানর (গাছে ওঠে, বসে, কিন্তু গাছের নাম জানে না)।
👉ধাঁধা: তিন ভাইয়ের তিন বাড়ি, তিন বাড়ির তিন দরজা, একসাথে খোলা যায় না, একসাথে বন্ধ করা যায় না।
উত্তর: চোখ, নাক, মুখ (চোখ খুললে নাক/মুখ বন্ধ থাকে না, ইত্যাদি)।
👉ধাঁধা: যার আছে হাত, কিন্তু হাততালি দেয় না, যার আছে মুখ, কিন্তু হাসে না।
উত্তর: ঘড়ি (পুনরায়)।
👉ধাঁধা: সাদা পাথর সাদা পাহাড়, সাদা পাহাড়ে সাদা বাঘ।
উত্তর: দাঁত আর জিভে দই/চালের ভাত।
👉ধাঁধা: এক টাকায় কিনি, দুই টাকায় বেচি, তবু লোকসান।
উত্তর: ভুল টাকা (জাল নোট, বা ভুল হিসাব - এক টাকার জিনিস দুই টাকায় বিক্রি করলে লাভ, কিন্তু যদি কেনা টাকা জাল হয় বা হিসাব ভুল হয়)। (হাসির জন্য)
👉ধাঁধা: কখনো জন্মায় না, কখনো মরে না, তবু সব জায়গায় থাকে।
উত্তর: আকাশ (বা বাতাস)।
👉ধাঁধা: খালি পেটে খাই, ভরা পেটে বেরাই।
উত্তর: জুতোর ফিতা (পুনরায়)।
👉ধাঁধা: ডালে ধরে, ফল নয়, পাতা নয়, দেখতে সবুজ, খেতে ঝাল।
উত্তর: কাঁচা মরিচ।
👉ধাঁধা: পাকা অবস্থায় সবুজ, কাঁচা অবস্থায় লাল।
উত্তর: তরমুজ (বাহিরে সবুজ, ভিতরে লাল, কিন্তু পাকলে বাইরের রং একই থাকে - ধাঁধার জন্য)।
👉ধাঁধা: কাটলে রক্ত বের হয় না, মরলে কান্না করে না।
উত্তর: গাছ/লতা।
👉ধাঁধা: যার আছে রাজ্য, কিন্তু প্রজা নেই, যার আছে মুকুট, কিন্তু রাজা নেই।
উত্তর: দাবা খেলার বোর্ড।
👉ধাঁধা: বাপের নাম কুমার, মায়ের নাম কুমারী, ছেলের নাম বাবু, মেয়ের নাম চামেলি।
উত্তর: ফুল (ডালচীনি/চামেলি ফুলের নাম, বাবু/কুমারদা ফুলের নাম)। (বাংলায় প্রচলিত)
👉ধাঁধা: সবাই ছুঁতে চায়, কিন্তু ছুঁলে ভেঙে যায়।
উত্তর: স্বপ্ন (বা বুদবুদ)।
👉ধাঁধা: সোনার পিঁজরা, রূপোর পাখি, কথা বলে হিন্দি।
উত্তর: রেডিও/টেপ রেকর্ডার (পুরনো)।
👉ধাঁধা: মাথায় মুকুট, গায়ে সোনা, পায়ে লোহার শিকল।
উত্তর: ভূট্টার গাছ (মুকুট = মোচা, সোনা = ভুট্টার দানা, শিকল = শিকড়)।
👉ধাঁধা: এক টাকার একশোটা, একশো টাকার এক টুকরো।
উত্তর: পাজামার বোতাম (ছোট বোতাম অনেক, বড় বোতাম একটাই দামী)।
👉ধাঁধা: গাছে গাছে ঘুরে বেড়াই, ফলটি আমার প্রিয় খাদ্য, লেজ আছে কিন্তু প্রাণী নই।
উত্তর: দা/কাটারি (কৃষি কাজ)।
👉ধাঁধা: কেউ ধারলে বাড়ে না, কেউ দিলে কমে না, সবাই চায়, কিন্তু পাওয়া গেলে কারো কাজে লাগে না।
উত্তর: বয়স (পুনরায়)।
👉ধাঁধা: ছোট ছোট ভাই, কাঁধে করে বড় ভাই, বড় ভাই গেল চলে, ছোট ভাই পড়ে রইল।
উত্তর: বাসের যাত্রী আর সিট (ছোট ভাই = সিট, বড় ভাই = যাত্রী, যাত্রী নেমে গেলে সিট পড়ে থাকে)।
👉ধাঁধা: দৌড়ে দৌড়ে বেড়ায়, কিন্তু জায়গা ছাড়ে না।
উত্তর: পাখা/ফ্যান।
👉ধাঁধা: সাদা মাঠে কালো গরু, দিনে একবার হাম্বা রব।
উত্তর: কলম দিয়ে কাগজে লেখা (কালো কালি, লেখার সময় শব্দ)।
👉ধাঁধা: গোল গোল ঘর, তার ভিতরে বাস, দরজা জানালা নেই, তবু ঢুকতে পাস।
উত্তর: ইমেল অ্যাকাউন্ট।
👉ধাঁধা: যার আছে পাতা, কিন্তু সে বই নয়, যার আছে ফল, কিন্তু সে গাছ নয়।
উত্তর: আর্টিচোক (সবজি, পাতার মত অংশ, ফুলের মত ফল)।
👉ধাঁধা: কাঠের পুতুল, লোহার পোশাক, যুদ্ধ করবে কিন্তু মারবে না।
উত্তর: দাবা গুটি (পুনরায়)।
👉ধাঁধা: সবাই তাকে খুঁজে, কিন্তু কেউ পায় না, যার আছে সে জানে না।
উত্তর: গোপন ধন-দৌলতের গুপ্তধন (বা, কপাল - ভাগ্য)।
👉ধাঁধা: হাতে নিলে ভাঙে না, ফেলে দিলে ভাঙে।
উত্তর: প্রতিশ্রুতি (হাতে নিলে = মানলে ভাঙে না, ফেলে দিলে = না মানলে ভাঙে)।
👉ধাঁধা: জন্ম নিলে মরে, মরলে জন্মায়।
উত্তর: ফিনিক্স পাখি (পৌরাণিক) / অথবা, মোমবাতির শিখা (নতুন বাতি জ্বালালে আগুন জন্মায়, নিভে গেলে মরে, আবার জ্বালালে জন্মায়)।
👉ধাঁধা: সবার শেষে আসে, সবার আগে চলে।
উত্তর: আলফাবেটের 'A' (ইংরেজিতে A সর্বাগ্রে, কিন্তু শব্দের শেষে আসে, যেমন 'tea' - 'A' শেষে)।
ধাঁধা উপভোগ করার টিপস
এই মজার ধাঁধা গুলোকে আরও উপভোগ্য করতে কিছু টিপস।
- ধৈর্য ধরুন: সব ধাঁধা সঙ্গে সঙ্গে সমাধান হয় না। ভাবুন, বিশ্লেষণ করুন।
- সহযোগিতা করুন: পরিবার বা বন্ধুদের সাথে মিলে সমাধান করার চেষ্টা করুন। আলোচনায় মজা দ্বিগুণ!
- শব্দের অর্থ নিন: অনেক ধাঁধা শব্দের দ্ব্যর্থতা বা বাগধারার উপর ভিত্তি করে। শব্দের বিভিন্ন অর্থ মনে করুন।
- দৃষ্টিভ্রম এড়ান: কিছু ধাঁধা আপনাকে ভুল পথে নিয়ে যেতে চাইবে। সহজ সমাধানের খোঁজ করুন।
উত্তর জানা না থাকলেও সমস্যা নেই। চেষ্টা করাটাই আনন্দের!
আরো পড়ুন:
উপসংহার:
এই ১০০টি মজার ধাঁধা ও উত্তর ২০২৫ সংস্করণ শুধু আপনার মস্তিষ্ককেই নাড়া দেবে না, বরং আশেপাশের মানুষদের সাথে আপনার বন্ধনও মজবুত করবে।
এই ধাঁধা গুলো ছোট-বড় সবার জন্যই উপযুক্ত এবং মানবিক মূল্যবোধের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। প্রতিদিন কয়েকটি ধাঁধা সমাধানের অভ্যাস আপনার চিন্তাশক্তি ও সৃজনশীলতা বাড়াতে সাহায্য করবে।
তাই, এই সংগ্রহটি শেয়ার করুন, প্রিয়জনদের চ্যালেঞ্জ করুন এবং মজা ও জ্ঞানের এক অনন্য অভিজ্ঞতা উপভোগ করুন!
মনে রাখবেন, ধাঁধায় ভুল উত্তর দিলেও কোন ক্ষতি নেই, চেষ্টা চালিয়ে যান – কারণ প্রতিটি চেষ্টাই আপনাকে পরবর্তী ধাঁধার উত্তর খুঁজে পেতে সাহায্য করবে। হ্যাপি ব্রেইন টিজিং! 😊